অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মাঝ রাতে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসাান (২৪) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৮ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আকরাম হোসেন (৩২) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত যুবক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা মাস্টারপাড়ার হাজী মৃত সফোর আলীর ছেলে। আটক আকরাম একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। তারা বন্ধু বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মেহেদীর স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাশের বাসার আকরাম তার স্বামীকে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় মেহেদী বাইরে সিগারেট কিনতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে তারা জানতে পারেন, বাড়িতে ডেকে নিয়ে আকরাম, তার ভাই সাদ্দাম ও তাদের বোন মিলে মেহেদীর গলায় ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মেহেদী জীবন বাঁচাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তার দিকে ছুটে আসলে তারা পিছু ধাওয়া নেয়। সে সময় মেহেদী রাস্তার উপর পড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান।
তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেননি। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর আকরামের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশির কুমার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মেহেদীর মৃত্যু হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, মেহেদী ও আকরাম বন্ধু। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মেহেদীর গলায় মধ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত আকরামকে পুলিশ আটক করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রয়েছে।
Leave a Reply